ত্রিশালের বালিপাড়ায় মোহাম্মদ নামের এক যুবক খুন

শেয়ার

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় এক মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বালিপাড়া ফকিরপাড়া এলাকার রাস্তার পাশের একটি ডোবা থেকে আজ সকালে মোহাম্মদ (২২) নামের এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।

নিহত মোহাম্মদ ওই এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে। এই নৃশংস ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং বিচার চেয়ে ফুঁসছে পরিবার ও স্থানীয়রা।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মোহাম্মদ স্থানীয় একটি ইটভাটার লড়ি গাড়ির শ্রমিক ছিলেন। গতকাল বুধবার (২৫ জুন) রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদ বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেননি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী রাস্তার পাশের ডোবায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ত্রিশাল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ, মোহাম্মদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, যা এই অভিযোগকে আরও জোরালো করেছে। তাদের দাবি, এটি কোনো সাধারণ মৃত্যু নয়, বরং পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড।

নিহতের বড় ভাই খলিল উদ্দিন বলেন, “আমার ছোট ভাই গতকাল রাতে ঘর থেকে বের হয়ে যায় আর ফেরেনি। যারা এমন নির্মমভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই। সে তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতো। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।”

নিহতের বাবা নিজাম উদ্দিনও পুত্রশোকে কাতর। তিনি বলেন, “আমার ছোট ছেলে মোহাম্মদ লড়ি গাড়ির লেবার হিসাবে কাজ করতো। রাত ৯টার দিকে আমার ছেলেটা ঘর থেকে বের হয়ে যায় আর ঘরে ফেরেনি। এই ছেলেটা আমার সংসারের সমস্ত কাজ করতো। কে বা কারা আমার ছেলেটাকে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।”

এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহাম্মদ জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “হত্যার কারণ ও জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি, তবে দ্রুতই জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। মোহাম্মদের অকাল মৃত্যুতে শুধু তার পরিবারই নয়, পুরো ফকিরপাড়া এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোক ও তীব্র ক্ষোভ। স্থানীয়রা দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

website counter