পোস্টারে ঢাকা দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা, নগরীর সার্কিট হাউস মাঠসংলগ্ন ব্যাট-বল চত্বর

শেয়ার

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ব্যুরো চীফ, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ নগরীর সার্কিট হাউস মাঠসংলগ্ন ব্যাট-বল চত্বর নান্দানিক এ স্থাপনাটি রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন পোস্টারে আড়াল করে রাখা হয়েছে। দূর থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই এটি ব্যাট-বল চত্বর। এমনই অবস্থা এই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ জয়নুল আবেদীন পার্কে নির্মিত দৃষ্টনন্দন বেশির ভাগ স্থাপনার।

নগরীর ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি স্থাপনা ব্যানার-পোস্টারমুক্ত থাকলেও বাকিগুলো আড়াল হয়ে আছে রাজনৈতিক ও বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যানার-পোস্টারে। যদিও দৃষ্টিনন্দন চত্বর ও স্থাপনাগুলোয় ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানো নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়ে রেখেছে সিটি করপোরেশন। যত্রতত্র ব্যানার, পোস্টার না সরালে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। কিন্তু তা তোয়াক্কা করছেন না কেউ। এ বিষয়েও সিটি করপোরেশনও নীরব।

বিষয়টি নজরে আনা হলে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী অফিসার বলেন, ‘পোস্টার অপসারণে আমাদের পদক্ষেপ চলমান থাকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় বিভিন্ন সময় পোস্টারগুলো লাগানো হয়েছে। যেখানে এখনো পোস্টার রয়ে গেছে, সেগুলো দ্রুত অপসারণ করা হবে।’

খোঁজ নিয়ে নিয়ে জানা যায়, সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিয়ে শহরকে নান্দনিক রূপ দিতে বিভিন্ন সময় স্থাপনাগুলো নির্মাণ করে। শুধু সৌন্দর্যবর্ধন নয়, স্থাপনাগুলো ভিন্ন ভিন্ন বার্তা বহন করে। কোনোটি শিক্ষার নগরী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়, কোনোটি সময়ের সঙ্গে চলতে উদ্বুদ্ধ করে, আবার কোনোটি বাংলার ইতিহাস, মুক্ত পায়রার মতো আকাশে ওড়া, বর্ণমালা, আলোকবর্তিকা ইত্যাদি। কিন্তু পোস্টারের আড়ালে ঢাকা পড়েছে এসব স্থাপনা।

জয়নুল আবেদীন পার্কে আসা রেজিয়া সুলতানা বলেন, নগরীর সৌন্দর্য বাড়াতে বা সমাজকে ইতিবাচক বার্তা দিতে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসানো স্থাপনা সৌন্দর্য বাড়ানোর চেয়ে এখন দৃষ্টিকটু লাগে। যে বার্তা দিয়ে তৈরি হয়েছিল, এসব স্থাপনা পোস্টারের আড়ালেই তা থেকে যাচ্ছে। তাই এসব পোস্টার অপসারণই নয়, দরকার যথাযথ আইন কার্যকর করা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনউদ্যোগ ময়মনসিংহের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বলেন, সৌন্দর্য যদি কারও মনে না থাকে, তাহলে বাইরে থেকে চাপিয়ে তার সৌন্দর্যবোধ জাগ্রত করা যাবে না। স্থাপনাগুলো সংরক্ষণ করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

website counter