চাঁদাবাজির মামলায় আদালতে জামিন নামঞ্জুর, ৭ বারের এমপি দবিরুল কারাগারে

শেয়ার

আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ভুমি দখল ও চাঁদাবাজির মামলায় ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাংগী, হরিপুর, রাণীশংকৈল) আসনের ৭ বারের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিশিয়াল আলদালতে তাকে হাজির করা হলে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক রহিমা খাতুন।

জানা যায়, দবিরুল ইসলাম হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি, জমিদখলসহ বিভিন্ন মামলার প্রধান আসামি। বালিয়াডাঙ্গী থানার একটি চাঁদাবাজি মামলায় বুধবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাকে রুহিয়া থানার রামনাথ বাজারের এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ওই মামলার প্রধান আসামি।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট মামলার বাদী হাবিবুল ইসলাম বাবলু জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেউরঝাড়ী এলাকায় ক্রয় করা জমিতে গেলে সাবেক এমপির লোকজন ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং বাদীকে বেধরক পেটায়। এ ঘটনায় গত ৩ সেপ্টেম্বর হাবিবুল ইসলাম বাবলু বাদী হয়ে সাবকে সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম, তার ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য মাজাহারুল ইসলাম সুজনসহ ২৮জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন জানান, তিনি একজন অনির্বাচিত এমপি ছিলেন; যা জাতির জন্য লজ্জাজনক। তিনি হত্যার হুমকিদাতা, চাঁদাবাজি, জমিদখলসহ বিভিন্ন মামলার প্রধান আসামি। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এ দিকে একই মামলায় গত ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজনকে গ্রেপ্তার করে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিশিয়াল আলদালতে তাকে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক রহিমা খাতুন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সাথে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত আগামী ১০ অক্টোবর শুনানির দিনধার্য্য করেন।

উল্লেখ্য, সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও হত্যার দুটি মামলা রয়েছে। এই দুটি মামলার প্রধান আসামি ছিলেন তিনি। দবিরুল ইসলাম সাতবার এমপি নির্বাচিত ছিলেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর ১০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি ও জমি দখলের অভিযোগে তাকে ১ নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাবলু। এদিকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থী মাহাবুব আলম হত্যার ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল জব্বার। এখানেও ১ নম্বর আসামি করা হয় সাবেক এই সংসদ সদস্যকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

website counter