হরিপুর রিপোর্টার :
হরিপুর হিসাবরক্ষণ অফিসে ভুক্তভোগীদের প্রকাশ ঘুষের লেনদেন এর পরেও হয়রানির শিকার হতে হয়। ঘুষের লেনদেন এতটাই বেপরোয়া, প্রকাশ্য চুক্তি না হলে ফাইনালের কাজ শুরুই করে না। অবসর জনিত ফাইল, টিএ, ডিএ, বিল বিভিন্ন দপ্তরের কন্টিনজেনসি বিল সব কিছুতেই অবৈধ লেনদেন । এমন একজন ভুক্তভোগী জানান মোছা,জোহরা খাতুন স্বামী মো,জয়নাল আবেদিন, গ্রাম,আমবাড়ী হরিপুর ঠাকুরগাঁও। তিনি ১১-৭ ১৯৯১ সালে হরিপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কর্মচারী চাকুরী থেকে ১১-৭-২০২৩ তারিখে অবসরে যান। তার ব্যাংক একাউন্ট নং ১৯০৯১০০০০৪৯৪০। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অফিসে ঘুরে ঘুরে অবসরের টাকা উত্তোলনের জন্য হয়রানির শিকার হয়। তিনি তখন অফিসের অডিটর মো,মজিবর রহমান কে জিজ্ঞেস করেন, কিভাবে টাকা উত্তোলন করা যাবে, তিনি তাকে জানান, হিসাবরক্ষণ অফিসারের সাথে কথা বলতে হবে। মো,মজিবর অফিসারের সাথে কথা বলে তাকে জানান, ১,৫০,০০০ টাকা দিলে কাজ করতে পারবে। ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে কিছু টাকা দিতে রাজি হয়।
ইতঃপূর্বে তার ছেলের অবসর জনিত ফাইলেও একলক্ষ টাকা ঘুষে প্রদান করে। তারপর অবসরে টাকা উত্তোলন করে পারে।
ভুক্তভোগী মোছা জোহরা খাতুনের ছেলে মো,জহিরুল ইসলাম জানান, আমার মায়ের অবসর জনিত ফাইলে কাজ করে দিবে মর্মে সোনালি ব্যাংক শাখা হরিপুর, নগদ একলক্ষ টাকা চেক গ্রহণ করে,তারিখ ১৪/৮/২০২৪ ইং তারিখে যাহার পাতা নং ২০০৯৪০৪৬৫ ও একাউন্ট নং ১৯০৯১০০০০৪৯৪০ এবং পরেও কুড়ি হাজার টাকা দেই। তারপরও আমি উক্ত কর্মকর্তার নিকট অপমানিত হই, চেক প্রদান ও টাকা প্রদানের সময়ের ভয়েস কল রেকর্ড আছে। ইতঃপূর্বে আমার ভাইয়ের অবসর জনিত ফাইলেও নগদ একলক্ষ টাকা প্রদান করি তারপর আমার টাকা তুলতে পারে।
নব্য হরিপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে সদ্য ১,৭০,০০০ টাকার ঘুষের বিনিময়ে কাজ করেন। এমনটাই ২২-৮-২০২৪ তারিখে ২৭ জন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক বরাবরে, মাধ্যম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরিপুর ঠাকুরগাঁও ।
এরকম দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা শেরিকুজ্জামান ও অডিটর মো, মজিবর রহমান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ করেন।
জানা যায় হরিপুর হিসাবরক্ষণ অফিসে ইতঃপূর্বে নব্য কলেজ আত্তীকৃত শিক্ষক কর্মচারীগণের নিকট থেকে মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে ফাইল পাশ করে। সর্বপরি অভিযোগ এই দূনীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২৭ জন্য ব্যক্তিবর্গ দূর্নীতির অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। মহা ঘুষখোর এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি নচেৎ আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা কমে যাবে সূধীমহলের আশংকা।