পড়ে আছে সারি সারি কাটা কলাগাছ। ফলসহ গাছের মাথা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ০৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের আকন্দের বাইদ এলকায় এ ঘটনা ঘটে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলেছে প্রায় ৫০০ কলাগাছ।
ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়ন আকন্দের বাইদ এলাকার চাষি মো. রফিকুল ইসলামের (৪৭) বাগানের অন্তত পাঁচ শতাধিক কলাগাছ কেটে নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম ০৮ সেপ্টেম্বর ঘাটাইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
রফিকুল ইসলাম জানায়, গত বছর জমিতে প্রায় ২ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে ৫০০ কলা গাছের চারা লাগান। যথারীতি ফলও এসেছে। ১ থেকে দেড় মাস পর তিনি বিক্রিও শুরু করতেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা কলাগাছ কেটে নষ্ট করে দিয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারও যদি শত্রুতা থাকে, তাহলে আমার সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু গাছ কী দোষ করল বুঝতে পারছি না।’ আমাদের পাশের বাড়ীর আনিছুর রহমান, জাফর খান, নবাব আলী খান এরা এ এলাকার দুর্বৃত্তশালী লোক। দারালো দা-বটি দিয়ে কুপিয়ে যেভাবে কলা গাছ কেটে ফেলেছে আমাদেরও ঠিক এভাবে কেটে ফেলার হুমকী দেয় এসব দুর্বৃত্তরা। ভয়ে আমরা নিরবে চেয়ে চেয়ে শুধু দেখলাম। ইতিপূর্বেও আমাদের জমি এভাবে দখল করে নিয়েছে তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলা বাগানের বিভিন্ন স্থানে পড়ে আছে কাটা কলা গাছ। কলাগাছগুলো দেখে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকসহ আসপাশের কৃষকদের আহাজারি করতে দেখা যায়। গরু ছাগলের খাদ্য হিসাবে কেউ কেউ কলাগাছ টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে। কাটা কলা গাছের বাগানে দরিদ্র কৃষককে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।
এলাকাবাসী নূরমোহাম্মদ জানান, রফিক একজন দরিদ্র কৃষক। রফিকের সহায় সম্বল সব দিয়ে এই কলা বাগান করেছিল। একই গ্রামে পাশাপাশি বসবাস করে এভাবে দিনে দুপুরে কলাগাছ কেটে ফেলে দিয়ে মানুষের এমন সর্বনাশ করা কোন ভাবেই উচিত নয়। এলাকায় আনিছুর রহমান, জাফর খান, নবাব আলী খান এভাবে অনেক মানুষের জমিজমা দখর করে নিয়েছে। এদের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না। এর উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, ‘এভাবে কোনো ফলদ গাছ কেটে দেওয়া দুঃখজনক। এটি নি:সন্দেহে একটি অমানবিক কাজ।
ঘাটাইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানায় বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০/৯/২০২৫