আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব পলাশ চন্দ্র রায়ের মাদক সেবনের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
পলাশ চন্দ্র রায় রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবের দ্বায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর বাড়ি
পীরগঞ্জ উপজেলার বৃদ্ধিগাঁও রনসিয়া গ্রামে। সে ওই এলাকার দগ্ধু চন্দ্র রায় ও
ক্ষিরতা রায় দম্পতির ছেলে।
গত দুই দিন ধরে মাদক সেবনের কয়েকটি ছবি বিভিন্ন ফেসবুক আইডি, ফেসবুক গ্রুপ ও ইউটিউবে দেখা যাচ্ছে। ছবিগুলো শেয়ার করে তাঁকে মাদক ব্যবসায়ী বলেও দাবি করা হয়েছে। ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিগুলোর নিচে তাঁর বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন লোকজন। মন্তব্যে অনেকেই তাঁর গ্রেপ্তার, বরখাস্ত ও শাস্তি দাবি করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের একজন সচিব হয়ে এমন কাজ করায় ভাইরাল হওয়া ছবির কমেন্ট বক্সে নিন্দার ঝড় তুলেছেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
ভাইরাল হওয়া বেশ কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি চেয়ারে বসে ফেনসিডিল সেবন করছেন। অপর কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, তিনি বিছানায় বসে ফেনসিডিল সেবন করছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসন থেকে তাঁর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
ইউপি সচিবের এমন ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনা চলছে। ইমরান আলী নামে একজন ফেসবুকে লেখেন, এই সচিব অনেক দিন থেকেই ফেনসিডিল সেবন করেন। তাঁর চলাফেরাও তেমন লোকজনের সঙ্গে। সাব্বির নামে একজন লেখেন, ইউনিয়ন পরিষদে যেকোনো বিষয় নিয়ে তাঁর কাছে গেলে তিনি সব কাজেই টাকা চান। টাকা ছাড়া কোনো কাজ তাঁর কাছে হয় না। এ কারণেই টাকাটা তিনি বেশি নেন।
সামাজিক গণমাধ্যমে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি মাদক সেবনের ছবিগুলো দেখে জানান, মাদক সেবনের স্থানটি ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবের নিজ কার্যালয়ে এবং তিনি যেখানে ভাড়া বাসায় থাকেন সেখানকার বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় নিরিবিলি জায়গায় ঘনিষ্ঠদের নিয়ে নিয়মিত আড্ডা দেন তিনি। তার নেতৃত্বে ওই ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মাদকের একটি বড় ঘাঁটি হয়েছে। আরও কয়েকটি স্থানে মাদকের আড্ডা বসে তাঁর নেতৃত্বে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সচিব পলাশ চন্দ্র রায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।