গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ব্যুরো প্রধান ময়মনসিংহঃ
রেনেসাঁ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন এর বিরুদ্ধে অভিযো*গ পত্র দাখিল করে উক্ত স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আনিত অভিযোগ এর উপর তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত রিপোর্ট এখনো দেওয়া হয়নি বলে জানান স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ। ঘটনাটি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৫নং সিরতা ইউনিয়নের চর আনন্দীপুরে।
গত এসএসসি পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র দেওয়া হয়নি বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম এর হস্তক্ষেপ এ মাধ্যমিক অফিসার, সিরতা ইউনিয়ন প্রশাসক বেলায়েত হোসেন এর মাধ্যমে পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশ পত্র পেল শিক্ষার্থীরা।
এখনো খবর নিয়ে জানা যায় প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন স্কুলে নিয়মিত আসে না। এতে স্কুলের বিভিন্ন কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। উক্ত স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীগণ বলছে আমরা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে পারছি না। কারণ প্রধান শিক্ষকের কামরায় হাজিরা খাতা। তিনি তো স্কুলে আসেন না। আমরা কোথায় স্বাক্ষর করবো। সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার বলেন আমি একটি স্বাক্ষর খাতা কিনে এনে দিয়েছি তাতেই সকল শিক্ষক /শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণ স্বাক্ষর করছে।
প্রধান শিক্ষক কেন আসে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তরে বলেন শুরু থেকেই দেখতেছি উনি ইচ্ছে হলে আসেন ইচ্ছে না হলে আসেন না। উনার মেজাজ বা আচরণ এমন যে কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে এর প্রতিউত্তরে ১০ টা শুনতে হবে। একটি বিষয় বুঝে আসে না! এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিস সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযো*গ দাখিল করা সত্বেও পদে পদে প্রমাণিত হতে থাকলেও এখনো এর ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?
স্কুল ম্যানিজিং কমিটির প্রস্তাব বার বার করা সত্বেও প্রধান শিক্ষক কমিটি করছে না। এ নিয়ে করছে তালবাহানা। শিক্ষক ও কর্মচারী সহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ জানান, বিগত সময়ে এ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সহ বিক্ষোভ মিছি*ল অনুষ্ঠিত হয়ে ছিল। তবুও কমিটি করছে না এই প্রধান শিক্ষক। এলাকার প্রতিষ্ঠানটি এভাবেই শেষ হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন সুশীল সমাজের নাগরিকগণ।
স্কুল খোলা থাকলেও প্রধান শিক্ষকের কামরা খোলা হয় না বলে জানান শিক্ষক ও কর্মচারীগণ। কিভাবে খোলবে প্রধান শিক্ষকতো স্কুলেই আসে না। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন এর ফোনে বার বার কল দিলেও রিসিভ করেনি।