বেনাপোল প্রতিনিধি :
যশোরের শার্শা উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়ে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে অনৈতিক কাজ করে আসছে সামাজুল ইসলাম (৩৫) নামের এক লম্পট।
সামাজুল ইসলাম শার্শার আমতলা গাতিপাড়া গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানান, তারা ও প্রতিবেশিরা বার বার নিষেধ করা সত্বেও সামাজুল কাউকে পরোয়া না করে সে তার সম্পর্কে চাচিকে তার সাথে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করে। শুক্রবার (২ মে) ভোর রাতে লম্পট সামাজুল তার চাচীর ঘরে গেলে অনৈতিক অবস্থায় প্রতিবেশিদের হাতে ধরা পড়ে। এ সময় প্রতিবেশি ও গ্রামের সাধারন লোকজন সামাজুলকে ধরে গনধোলাই দিয়ে শার্শা থানা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশের কথা শুনে সামাজুলের বড় ভাই নজরুল ইসলাম একদল দূর্বৃত্ত সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে বোমা বিষ্ফোরন ঘটিয়ে ও কালু নামে একজনকে পিটিয়ে সামাজুলকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় সামাজুলের ভাই নজরুলসহ তার সাথে থাকা দূর্বৃত্তরা ভুক্তভোগীর বাড়িঘর ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। এরপর থেকে তাদের ভয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের ১০ জন সদস্য বাড়ি ছাড়া। যে কারনে ভুক্তভোগীরা এখনও থানায় অভিযোগ করতে পারেনি। এ ঘটনায় আমতলা গাতিপাড়া এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে সংঘর্ষ বাধতে পারে বলে আশংকা করছে এলাকার লোকজন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য আবু জাহিদ জানান, তার চাচা মামুন বিশ্বাস বিদেশ প্রবাসী। এই সুযোগে প্রতিবেশি সামাজুল গত দেড় বছর ধরে তার চাচী ও চাচীর দুই শিশু সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে চাচীর সাথে অনৈতিক কাজ করে আসছে।
জাহিদ বলেন, তারা একাধিকবার প্রতিবাদ করা সত্বেও শুক্রবার ভোর রাতে সামাজুল তার চাচীর ঘরে ঢুকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে। এ সময় ঘটনাটি তারা বুঝতে পেরে সামাজুলকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় প্রতিবেশি ও গ্রামের সাধারন জনগন লম্পট সামাজুলকে গনধোলাই দিয়ে আটকে রাখে।
এ ঘটনার পর থেকে আবারও হামলার ভয়ে তাদের পরিবারের ১০ জন সদস্য বাড়ি ছাড়া রয়েছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#