স্টাফ রিপোর্টার ।
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা হিসাবরক্ষন অফিসার অবাধে ঘুষ লেনদেন করতো। ইতঃপূর্বে শেরিকুজ্জামান এর ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে বিশাল মানববন্ধন হয়।এলাকার কয়েকজন ভুক্তভোগী ঘুষ লেনদেনের কল রেকর্ড সহ রংপুর বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসারের বরাবরে আবেদন করার ফলে তদন্ত টিম গঠন করা হয় এবং তদন্ত টিম সরেজমিনে তদন্তকালে ভুক্তভোগীগণ প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন। অজ্ঞাত কারণে শেরিকুজ্জামান বর্তমানে বহালতবিয়তে আছেন।তিনি বর্তমানে আরো বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।
ভুক্তভোগী জোহরা খাতুনের ছেলে মৃত জাকির হোসেন স্ত্রী নামে উল্টো অতিরিক্ত টাকা উত্তোলনের জন্য চিঠি ইসু করে। অভিযোগকারী মো,জহিরুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই মৃত জাকির হোসেন অবসরের টাকা ও আমার মা জোহরা খাতুনের পেনশনের টাকা উত্তোলন জন্য প্রথম দফায় আশি হাজার টাকা নেয়, ও দ্বিতীয় দফায় হরিপুর সোনালী ব্যাংক একাউন্ট নং ১৯০৯১০০০০৪৯৪০, চেক পাতা নং২০০৯৪০৪৬৫,( ১৪-৮-২০২৪ ইং তারিখে) ১ লক্ষ টাকা, ১৫-৮-২০২৪ ইং তারিখে ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করে, সর্ব মোট তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমরা লিখিতভাবে অভিযোগ করি। তদন্ত হয়েছে কিন্তু এখন উল্টো ভাবে আমার ভাই মৃত জাকির হোসেন স্ত্রী ফেনসি আকতারের নামে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলনের অভিযোগে টাকা ফেরতের চিঠি ইসু করে। আমরা দূর্নীতি বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আমাদেরকে আরো উল্টো হয়রানি করছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে সুবিচার পাইনি। আমার ভাই মারা যাওয়ার দীর্ঘদিন পর তার পেনশনের টাকা উত্তোলন করি। তারাইতো বিল ভউচার তৈরি করে দেয়। এখন উল্টো অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন অভিযোগ। আমাদের অপরাধ ঘুষের অভিযোগ করা।
রংপুর বিভাগীয় হিসাবরক্ষন অফিসার কে অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি জানান, ঢাকায় ফাইল পাঠানো হয়েছে। আর হয়রানির জন্য চিঠি সম্পর্কে
জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি জানান অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করা হলে টাকা ফেরত দিতে হবে। নচেৎ কি কি কাগজ আছে দাখিল করতে হবে। যখন তার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ করা হলো এখন এই চিঠি ইসু কেন? তিনি মন্তব্য না করে এড়িয়ে যান। বর্তমানে ভুক্তভোগীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসীর দাবি এই দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হোক।