বেনাপোল প্রতিনিধি :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহত রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল্লাহ তিন মাসের ও অধিক সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ইন্তেকাল করেন।
তার পরিবার-পরিজনদের সান্ত্বনা দিতে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল বড়আঁচড়া গ্রামে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি নিহত আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান এবং তার মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করেন এবং পরিবারের খোঁজ-খবর নেন। পরে নানা-নানীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করেন এবং তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
এর আগে তিনি যশোর টাউন হল ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর এক দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং দলের নেতা-কর্মী উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
এ সময় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ এলাকার গৌরব। তার কারনে আজ আমাদের এখানে আসা। আব্দুল্লাহ শহীদ না হলে আদৌও এখানে আসার সৌভাগ্য হতো কিনা আমি জানিনা। শহীদ আব্দুল্লাহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার জন্য নিজের সম্ভাবনাময় জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। তার আত্মত্যাগের জন্য জাতি আজ গর্বিত। আমি আশা করি সারাদেশ তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে এবং তাঁকে জাতীয় বীরের মর্যাদা প্রদান করবেন। আমি মহান রবের নিকট দোয়া করি তিনি যেন তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন তার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফীক দান করুন। এ সময় তিনি শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং তার পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নিহত আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোর জেলা শাখার আমীর গোলাম রসুল ও শার্শা থানা আমির রেজাউল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।