ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলায় “আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (IFPRI) হারভেস্ট প্লাস প্রোগ্রামের রিঅ্যাক্টস- ইন প্রকল্পের আয়োজনে অগ্রণী কৃষক প্রশিক্ষণ ও জিংক ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মোলানি হাই স্কুল মাঠে এই কর্মসূচি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অগ্রণী কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ কর্মসূচির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ওয়াহিদুল আমিন, কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর, হারভেস্টপ্লাস এবং কৃষিবিদ মোঃ মজিবর রহমান, কোঅর্ডিনেটর, সীড সিস্টেমস এন্ড মার্কেটিং, হার্ভেস্টপ্লাস।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইএসডিও রিএক্টস-ইন প্রজেক্ট এর প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম ও প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তা সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
সভায় মানবদেহে জিংকের উপকারিতা, অভাবজনিত লক্ষণ ও জিংকের ঘাটতি মেটানোর উপায়সহ জিংক সমৃদ্ধ ধান ও গমের বিভিন্ন জাত, তাদের উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং জিংক ধান ও গম কে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছাতে তাঁরা এর উৎপাদন ও এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাবেন মর্মে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।
রিএক্টস-ইন প্রকল্পটি কানাডা সরকারের অর্থায়নে, ওয়ার্ল্ড ভিশন, হারভেস্টপ্লাস, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল এবং ম্যাক গ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কনসোর্টিয়াম এর মাধ্যমে অন্যান্য তিনটি দেশের মতো বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই প্রকল্পের হারভেস্টপ্লাসের কার্যক্রম গুলি আরডিআরএস বাংলাদেশ/ ইএসডিও এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। হারভেস্টপ্লাস ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ বায়োফোর্টিফাইড খাদ্যশস্যেও বিকাশ ও প্রচার করে এবং বায়োফরটিফিকেশন প্রমাণ এবং প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব প্রদান করে পুষ্টি এবং জনস্বার্থেও উন্নতি করে। হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশে জিংক ধান, জিংক গম এবং জিংক ও আয়রন মসুর এর সম্প্রসারণ এবং অভিযোজনে কাজ করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে আমন মৌসুমে ব্রি ধান ৭২ ও বিনা ধান ২০ এবং বোরো মৌসুমে ব্রি ধান ৭৪, ৮৪, ১০০ ও ১০২ ধানের ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আজকের এই কর্মসূচিতে ১১০ জন চাষীকে ৪ কেজি করে মোট ৪৪০ কেজি ব্রি ধান ১০০ জাতের ভিত্তি ধান বীজ বিতরণ করা হয়।