হরিপুর প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁও জেলায় শীত মৌসুমে রবি ফসল বেগুন ব্যাপক আবাদ হয়। স্থানীয় ভাবে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করে কৃষক ব্যাপক ভাবে লাভবান হতো। প্রতিবছর ঠাকুরগাঁও জেলায় শত শত হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়। মৌসুমের শুরুতে বেগুনে মজাই ভাইরাসে আক্রান্তে ফলন বহুগুন কমে যায়। ফুল আসলেও ফল আসেনা। মজাই ভাইরাস সাধারণ সাদা মাছি দ্বারা ভাইরাসটি বহন করে। বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক দোকান থেকে ক্রয় ক্রয় করে প্রয়োগ করলেও, কোন প্রতিকার না পেয়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসার নিকট বেগুন পাতা হলুদ বিষয়ে অবহিত করে। মহামারী পরিস্থিতি সম্পর্কে কৃষি অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ঠাকুরগাঁও জেলায় বেগুনের ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে উপরে কৃর্তপক্ষকে অবহিত করে ও জেলা কমিটিতে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সারা জেলায় মহামারি আকারে মোজাইক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে ফলে বেগুনের হলুদ পাতা হলুদ প্রাথমিক ছিড়ে ফেলা ও মাটিতে পুঁতে ফেলা সম্ভব হয়নি ফলে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে । ফলে বর্তমানে বেগুনের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে অস্বাভাবিক ভাবে দাম বেড়ে গেছে ।
ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্যে হরিপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বেগুন উৎপাদন হয়। ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের
বেগুন চাষী মো,লুৎফর রহমান পিতা,আ,লতিব জানান আমি তিন বিঘা বেগুন চাষ করেছি,প্রায় আশি হাজার টাকা খরচ। হলুদ পাতা মোজাইক ভাইরাস আক্রান্ত জানতে পারে বিভিন্ন কোম্পানির বিষ প্রয়োগ করি কোন লাভ হয় নি।
আমার বেগুন ফসল কেটে এখন ভুট্টা চাষ করবো।টাকার অভাবে ভুট্টা ক্ষেত লাগাতে পারেনি। সরকার আমাদের কৃষকদের প্রণোদনা দিলে আমরা কিছুটা রক্ষা পেতাম।
বর্তমানে বেগুন চাষীদের রক্ষা করার জন্য সরকারের নিকট প্রণোদনা দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এই মৌসুমে বেগুনের ফলন কম হওয়ায় দাম কমানোর সুযোগ কম। বর্তমানে সবজির বাজারে মূলা,কপি,শিম বরবটি,লাল শাক, দিগুণ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।