মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিনষ্ট; জরিমানা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ কৃষক

শেয়ার

মোঃ ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁও বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে কীটনাশকের দোকানে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিনষ্ট করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা। জরিমান না করাই স্থানীয় কৃষকরা ক্ষুব্ধ।

বুধবার (৬ই নভেম্বর) দুপুর ২ টায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের ধনিরহাট বাজারে রানা ট্রেডার্স কীটনাশক দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক পায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গুলজার হোসাইন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমাদের এলাকার কৃষক মাসুদ রানাকে মেয়াদোত্তীর্ন কীটনাশক দেই এই দোকানদার। তাঁর ক্ষেত পঁচে যাচ্ছে দেখে সে কয়েকজনকে জানায়। আমরা বিষের বোতলটা দেখলে দেখি বিষের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। তাই আমরা তাঁকে কৃষি অফিসে অভিযোগ দিতে বলি। অভিযোগ পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা আসেন এবং অনেক টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ বিষ পেয়েছেন। শুধু বিষগুলো নষ্ট করলো। কেন জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া হলোনা সেটা আমরা বুঝতে পারলাম না। আমরা তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেছিলাম কিন্তু কৃষি অফিসার শাস্তি দেয়নি তাঁকে। 

কৃষক মাসুদ রানা বলেন, আমি দোকান থেকে বিষ কিনে নিয়ে যায় আমার বেগুন ক্ষেতে স্প্রে করি। পরে দেখি আমার ক্ষেত দিনে দিনে ঝিমায় যাচ্ছে। তাই আমি অন্য কৃষককে বিষের বোতল দেখালে তাঁরা আমাকে বলেন যে বিষের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে।আমি দোকানে আসে বললে দোকানদার আমার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাক গালিগালাজ করে। পরে আমি কৃষি অফিসারকে গিয়ে অভিযোগ দেই।কৃষি অফিসার এসে তার দোকানে এতগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ বিষ পেয়েও কেন শাস্তি দিল না সেটা আমাদের অজানা।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা গুলজার হোসাইন জানান, আমরা রানা ট্রেডার্সে এসে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক পেয়েছি। মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক আমরা বিনষ্ট করে দিয়েছি এবং তাঁকে সতর্ক করে দিয়ে মুচলেকা নিয়েছি। পরবর্তীতে মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

কৃষক মাসুদ রানার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা ক্ষেত দেখে গেলাম। পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

website counter