আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে চুরি হওয়া ৭টি গরু উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পিতাইচড়ি গ্রামের রেজাউল করিমের বাড়ী থেকে গরুগুলো উদ্ধার করে থানায় এনেছে পুলিশ। তবে পুলিশ আসার খবর শুনেই গরু, ঘর-বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে রেজাউল করিম ও পরিবারের লোকজন।
রেজাউল করিম ওই গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি গরু চুরি ও চুরি হওয়া ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত। চুরি করা গরু লালন পালন করতেন তিনি।
জানা গেছে, গেল এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর, বড়বাড়ী, চাড়োল ও ধনতলা ইউনিয়নে ৩০টির বেশি গরু চুরি হয়েছে। এর ফলে গরু চুরির ঘটনা নিয়ে বেশ আতঙ্কে গ্রামের মানুষ।
পুলিশ বলছে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গরু চুরির ঘটনাগুলোর রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে রেজাউল করিমের বাড়ীতে চুরি হওয়া গরু আছে। এমন খবর পাওয়ার পর বাড়ীতে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে আগেই খবর পেয়ে যাওয়ার কারণে পালিয়ে যায় রেজাউল ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৭টি গরু থানায় নিয়ে আসেন তারা।
গরু উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি জাকারিয়া মন্ডল, আমজানখোর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আইয়ুব আলী খানসহ বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ওসি জাকারিয়া মন্ডল সবার উদ্দেশ্যে জানান, গরুগুলো থানায় থাকবে। গরু মালিক শনাক্ত করণের পর তার নিকট গরু হস্তান্তর করে দেবে। এছাড়াও রেজাউল করিম কার নিকট গরু কিনেছেন, বা কে রেখেছেন তার বাড়ীতে গরু। এসব তথ্য স্বেচ্ছায় থানায় উপস্থিত না দিলে তার বিরুদ্ধেই গরু চুরির অভিযোগের মামলা করবে পুলিশ।
গেল ২১ অক্টোবর ভানোর ইউনিয়নের বোয়ালধার গ্রামের দিনমজুর পরবেশ আলী ওরফে আলিফের গোয়ালঘরের তালা ভেঙ্গে ০৫টি গরু নিয়ে যায় চোরের দল। পরের দিন প্রতিবেশী আরেকটি পরিবারকে অচেতন করে নিয়ে যায় ৭টি গরু। গত মঙ্গলবার রাতে বড়বাড়ী ইউনিয়নের দিনমজুর আব্দুল গণির দুটি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী ধাওয়া করে গরু দুটি উদ্ধার করে। তবে চারজন চোর পালিয়ে যায়। এসব ঘটনাগুলোর বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।