আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
জাল, পলো এবং ছোট ছোট ছিপ নিয়ে উৎসবের আমেজে মাছ ধরতে এসেছে শত শত মানুষ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে থেকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বুড়ির বাঁধের পানি ছেড়ে দেয়ায় এ উৎসবে মেতেছেন সবাই।
বুড়ির বাঁধে মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এসে উৎসবে মাতেন। প্রশাসন এ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়ে থাকে।
বর্ষা মৌসুমে পানি ধরে রাখার পর প্রতিবছর শীতের শুরুতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের গেট খুলে দিলে এভাবে মাছ ধরা চলে।
এ জলকপাটে আটকে থাকা পানিতে প্রতিবছর জেলা মৎস্য অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করে থাকে। আর বছর ঘুরে পানি ছেড়ে দিলে দূর দূরান্ত থেকে মাছ ধরতে ছুটে আসেন জেলেসহ স্থানীয়রা।
উম্মুক্তভাবে মাছ শিকারের পর পাশের সড়কে তা বিক্রি করে। দেশীয় প্রজাতির ছোট বড় নানা জাতের মাছ কিনতে ও বিক্রি করতে পেরে খুশি স্থানীয়রা। আর মাছ উৎসবকে ঘিরে বাঁধের আশপাশ এলাকায় প্রসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা।
মাছ ধরতে ও কিনতে আসা মানুষেরা জানান, প্রতিবছর প্রচুর মাছ পাওয়া গেলেও এবার মাছ কম। তাই মাছের দামও বেশি। তবুও দেশি প্রজাতির রুই, কাতলা, টেংনা, পুঠিসহ নানা জাতের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তবে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে এ এক উৎসবে পরিনত হয়েছে।
১৯৮২ সালে শুকনো মৌসুমে এই এলাকার জমি চাষাবাদের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আচকা ও চিলারং ইউনিয়নের মাঝামাঝি এলাকায় শুক নদীর উপড় বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানি আটকে রাখা হয় ওই এলাকার উঁচু জমি চাষাবাদ করার জন্য। আর সেই আটকে রাখা পানিতে ছেড়ে দেয়া হয় প্রতি বছরের এমন সময়ে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, প্রতিবছর এ সময়ে গেটটি খুলে দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এসে উৎসবে মাতেন। প্রশাসন এ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়ে থাকে। কোনো রকম যেন বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য নজরদারি রাখা হয়।