রাণীশংকৈল কুলিক নদীতে বস্ত্রহীন নারীর মরদেহ উদ্ধার

শেয়ার

আনোয়ার হোসেন আকাশ,
(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে নদী থেকে বস্ত্রহীন অবস্থায় রেজিয়া (৬০) নামের
এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দেখা দিয়েছে রহস্য; চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বাচোঁর ইউনিয়নের কুলিক নদীর বাকশা সুন্দরপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রেজিয়া একই উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধ্যারই সাতঘরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, সকালে স্থানীয়রা কুলিক নদীতে ওই মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। বস্ত্রহীন থাকায় মরদেহ নিয়ে নানাবিধ রহস্যও দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয়রা বলছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাকে মেরে ফেলে দিয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে। এমন ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। আর আত্মহত্যা করলেও শরীরে কাপড় পরিধানের কথা। কিন্তু কোনো কাপড় ছিল না। এখানে খুব বড় কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে।

নিহত রেজিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম জানায়, তার মা দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি বাড়ি হতে রোববার সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। মা বাড়িতে না ফেরাই তাকে আমরা অনেক জায়গায় খোজাখুজি করেছি কিন্তু পাইনি। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কুলিক নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মায়ের মরদেহ স্থানীয় এক কৃষক নদীর পাড়ে ধান কাটতে গিয়ে দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে নদী থেকে মরদেহ টি উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন,
পারিবারিক কোন অভিযোগ না থাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বরাবর লাশ দাফনের অনুমতির জন্য আবেদন দেওয়া হয়েছে।অনুমতি পেলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে
এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে পুলিশ ওই নারীর বস্ত্রহীনতার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

website counter