পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, দীর্ঘদিন ধরে হয়রানী, অনিয়ম, প্রতারণার প্রতিবাদে এবং আওয়ামী লীগ নেতা প্রধান শিক্ষক, অসাধু শিক্ষক ও কমিটির ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে একাডেমিক ভবনের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ভূক্তভোগী আরজিনা বেগম, তার ছেলে রমজান আলী, শহিদুল ইসলাম, ফজলুল করিম প্রধান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে বিদ্যালয়ে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, স্থানীয়রা সহ শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অমরখানা উচ্চ বিদ্যালয়ে আরজিনা বেগম ১৯৯৮ সালে আয়া পদে যোগদান করেন। সেসময় তিনি বিদ্যালয়ের নামে ১৩ শতক জমিও দান করেন। তবে ২০২২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছরে তাকে বেতন ভাতায় অর্ন্তভূক্ত করার কথা বলে দফায় দফায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা নেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু সহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। তবে ২০২২ সালে আরজিনাকে বাদ দিয়ে নতুন করে ওই পদ সহ আরো তিনটি পদে রাতের আধারে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের কিছু দুর্নীতিবাজ অসাধু শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যেমে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান অবনতি করেছেন।
বক্তারা অবিলম্বে আরজিনা বেগমকে বিদ্যালয়ে নতুন করেন পুনঃবহাল করা দাবী করেন। তা না হলে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলানো সহ কঠোর করতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
তবে আরজিনা বেগম বিদ্যালয়ে জমি দিয়েছেন বিষয়টি স্বীকার করলেও বেতন করে নামের নামে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু। তবে আয়া পদে নিয়োগ পাওয়া আরজিনা বেগমের চাকরীর বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও বেতন ভাতা মেলেনি বলে জানান তিনি।
এদিকে ৯ দফা দাবী বেধে দেন তারা৷ তাদের দাবী মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা