গাঁজা ক্রয়ের দায়ে যুবকের কারাদণ্ড, পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিলন বিচারক
পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া উপজেলায় শহিদুল ইসলাম (৩০) নামে এক মাদক সেবক যুবককে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত৷ তবে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীর পরিবার গরীব ও অসহায় হওয়ার তার পরিবারকে সার্বিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বী।
শুক্রবার দুপুরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া-বাংলাবান্ধা হাইওয়ে সড়কের সাহেবজোত এলাকায় গাঁজাসহ ওই যুবককে আটক হয়।
জানা গেছে,দন্ডপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাদ্রুবাড়ী গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় ও ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, মাদকাসক্ত যুবক শহিদুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজারের পাশের এলাকা থেকে গাজা সেবন করার উদ্দেশ্যে এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গাঁজা ক্রয় করে ফেরার পথে স্থানীয় লোকদের সন্দেহ হয়। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয় লোকজনরা। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই যুবক গাঁজা ক্রয় করার কথা স্বীকার করলে সাথে সাথে তারা তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি আটকৃত শহিদুলকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৯ ধারা লংঘনের দায়ে ০৬ মাসের কারাদন্ড এবং ৫০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন এবং অর্থ অনাদায়ে আরো ৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি জানতে পারেন দণ্ডপ্রাপ্ত ওই যুবকের পরিবার গরিব ও অসহায়। পরে মানবিক বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে তার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। এবং আগামী ৬ মাসের মধ্যে তার পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহাবুবুল আলম,তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ ও স্থানের উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি জানান, স্থানীয়রা ঔই যুবককে আটক করে প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে সেই যুবক গাঁজা ক্রয় করার বিষয়টি স্বীকার করেন। ওরে ভ্রাম্যমান বসিয়ে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়। আমি স্থানীয়দের মাধ্যমিক জানতে পারি তার পরিবারটি অনেক অস্বচ্ছল। তাই মানবিক বিবেচনায় তার পরিবারকে প্রাথমিকভাবে খাবার সামগ্রী দেয়া হয়েছে। ওই যুবক যে কয়েক মাস কারাগারে থাকবেন সেই সময়টাতে তার পরিবারকে বিভিন্ন সহযোগিতা করা হবে।