আনোয়ার হোসেন আকাশ (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বোদা থানাপাড়ার একটি বাড়ি থেকে তাকে আটক করে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি দল।পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে হত্যা মামলায়।
বোদা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক জানান, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বোদা থানাপাড়া থেকে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যাকে আটক করা হয়।
এরপরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাহারায় এরপর তাকে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনাটি জানিয়ে বন্যার স্বামী সাংবাদিক সামসুজ্জোহা বাবলু বলেন, তার স্ত্রী অসুস্থ। আগে কোনো মামলার আসামি ছিলেন বলে তার জানা নেই। তার একটি প্রতিবন্ধী সন্তান রয়েছে। তিনি যেন আইনগতভাবে সুবিচার পান এটাই তার পরিবার আশা করে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে তাকে আদালতে তোলা হয়।
ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, সদর উপজেলার আরাজি পাইকপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের করা ২১ আগস্টের একটা হত্যা মামলায় (মামলা নম্বর ১৮/২০২৪) তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ তাকে আদালতে নেওয়া হবে
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী শরিফুল ইসলামকে হারিয়ে ২৬ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা।
তবে এর আগে একাধিকবার ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করলে সামান্য ভোট পেয়ে জামানত খোয়ান তিনি। মেয়র হওয়ার মাত্র দেড় বছরের মাথায় কোটি টাকায় ছয়তলা বাড়ি নির্মাণ করেন তিনি। অনিয়ম, দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের লাঞ্ছিতও করেন তিনি। মেয়রের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি পালন করেছেন কাউন্সিলররা।
গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৌর এলাকার অনেকেই বন্যাকে ভোটচুরির মাধ্যমে অনির্বাচিত ও অবৈধ মেয়র বলে উল্লেখ করেন।