পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মাঠ ফাঁকা পেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় সুযোগ বুঝে কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় কয়েকটি মোটরসাইকেলে। ভাংচুর করা হয় প্রাইভেটর কার সহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এতে কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছে। রবিবার দিনভর এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পীরগঞ্জ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগ। এ সময় আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীরা সংগঠিত হয়ে মিছিল নিয়ে পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় পৌছলে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পাল্টা ধাওয়া করলে আওয়ামীলীগ সহ তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাজপথ ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ইট পাটকেলের আঘাতে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আখতারুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র কশিরুল আলম, হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন, জাবরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম, যুবলীগ নেতা রুবেল রানা, আওয়ামীলীগ কর্মী ফরহাদ সহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আন্দোলনকারীদের কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়। পরে হাজার হাজার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তা সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট দখলে নিয়ে এক দফা দাবী আদায়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। পূর্ব চৌরাস্তায় সমাবেশ শেষে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে আন্দোলনকারী রাজপথ ছেড়ে দেয়। দিনব্যাপী নিরব ভূমিকা পালন করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।