আনোয়ার হোসেন আকাশ,
(ঠাকুরগাঁও) বিশেষ প্রতিনিধি ;
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে দেশে ১০ লাখ কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। তিনি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে শেখ হাসিনার নেত্রিত্বে আইসিটি খাতে ইনশাআল্লাহ আমরা ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও এ সেক্টরে আরও ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বর্তমানে আইটি সেক্টর থেকে বছরে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করছি। এখানে প্রায় ৭ লাখ ফ্রিল্যাইন্সার যারা প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল থেকে কাজ করে প্রায় বিলিয়ন ডলার আয় করছে।’
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের সিংপাড়া এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আগামীতে আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার সারা বাংলাদেশে ৫৫৫টি, জয় স্মার্ট সার্ভিস ইম্পলয়মেন্ট সেন্টার, নারীদের জন্য হার পাওয়ার, তরুণ-তরুণীদের জন্য ভবিষ্যতে আমরা ৩০০টি আসনে স্মার্ট ইম্পলয়মেন্ট এন্ড অটো ওপেনশিপ ডেপলভম্যান্ট প্রজেক্ট নতুন শুরু করতে যাচ্ছি। যেখানে আরও ২ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করব। সবমিলিয়ে আগামী ৫ বছরে আইটি সেক্টরে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করব ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি যে ২ লাখ ছেলে-মেয়ে ফ্রিল্যাইন্সার, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যারসহ ই-কর্মাস খাতে কাজ করার সুযোগ তৈরি করেছেন শেখ হাসিনা। সেই আইটি সেক্টরে আগামী ৫ বছরে আরও নতুন ১০ লাখ কর্মসংস্থান আমরা সৃষ্টি করব।’
তিনি বলেন, ‘আইটি ট্রেনিং নিয়ে ঘরে বসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা সম্ভব। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আইটি ব্যবহার করে তারা ঘরে বসেই ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কিন্তু ডলার ইনকাম করতে পারবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের আড়াই একর জায়গায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ তলা বিশিষ্ট শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের নির্মাণ কাজ আগামী ৩ বছরে শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সেন্টার থেকে প্রতিবছর অন্ততপক্ষে ১ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী নির্মাণাধীন আইটি সেন্টারের চত্বরে গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন, নারী আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোসারুল ইসলামসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।