নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার ৫৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যম কর্মী ও সাংবাদিকদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছেন। তাঁর সময়েই বেসরকারি খাতে টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে এবং বর্তমানে অনলাইন পোর্টালগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট’ আইন পাস করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার ৫৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা একজন গণমাধ্যমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্ট গণমাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
স্পিকার বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চায় এবং দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীরা নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করলে গণমাধ্যম কার্যকর হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রসারের মাধ্যমেই গণতন্ত্র সুসংহত হয়।
স্পিকার আরও বলেন, সরকারের বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা সরকারকে শক্তিশালী করে। তবে অপপ্রচার বন্ধেও সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় যে সকল নারীরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সুযোগ করে দিতে হবে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দৈনিক গণকণ্ঠ দেশের অন্যতম পাঠক সমাদৃত পত্রিকা। সুদীর্ঘ ৫৩ বছর ধরে পত্রিকাটি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে আসছে।
তিনি বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে যে সকল কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেগুলোর সমস্যা-সম্ভাবনা সরকারের কাছে তুলে ধরে পত্রিকাটি জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। দৈনিক গণকণ্ঠকে গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে।
এ সময় স্পিকারকে দৈনিক গণকণ্ঠ-এর পক্ষ থেকে উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
দৈনিক গণকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং টেলিলিংক গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক। এছাড়াও বক্তব্য প্রদান রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহিম।
এ অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আমিন হেলালী, ওয়েলকেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান মিঠু, নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাদী উজ জামানসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।