কলা খুবই সহজলভ্য ফল। কলা খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ফল হিসেবে কলার যেমন কদর রয়েছে ঠিক তেমনি আবার সবজি হিসেবেও বেশ ভালো কদর রয়েছে সুস্বাদু পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলের। পুষ্টিবিদরা বলেন, কলা খাওয়ার ফলে পেটের অসুখে অনেক উপকার পাওয়া যায়। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলকে সবজি হিসেবে খাওয়ার ফলে আলসার, সংক্রমণ, ডায়রিয়াসহ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক উপকার আসে।
সবজি হিসেবে কাঁচা কলার বিকল্প কিছু হয় না। এতে কার্বোহাইড্রেড, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি এবং আরও নানা উপকারী উপাদান রয়েছে। এছাড়াও পুষ্টি বিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলায় থাকা ভিটামিন-সি রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। এছাড়াও উপাদানে থাকা ভিটামিন বি-৪ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কাঁচাকলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
ওজন কমায় : কাঁচাকলা ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এতে করে ক্যালরিবহুল অন্যান্য খাবার থেকে দীর্ঘ সময় বিরত থাকা যায়। যারা ওজন কমাতে চান তারা খাদ্য তালিকায় কাঁচা কলা রাখুন। এছাড়াও আঁশযুক্ত হওয়ায় মেদ বার্ন করতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে কাঁচা কলা।
শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে : কাঁচা কলা সাধারণত আঁশযুক্ত, তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে থাকা ভিটামিন-বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে এবং টাইপ-টু ডায়াবেটিস ঠেকাতেও সহায়তা করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি : কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে পেটের ভেতরে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় খুব সহজেই হজম হয় এটি। এনজাইম সমৃদ্ধ হওয়ায় ডায়রিয়া এবং পেটের বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করে থাকে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় : কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। হৃদরোগে অনেক উপকারী এই পটাশিয়াম উপাদান। নিয়মিত কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ : কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে ক্ষতিকর সকল ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু এবং ইনফেকশনকে দূর করে কোলনকে ভালো রাখে। দীর্ঘমেয়াদী কোলন সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক ভূমিকা রাখে কাঁচা কলা।
হাড় মজবুত : নিয়মিত কাঁচা কলা খাওয়ার ফলে শরীরের হাড় মজবুত এবং হাড় ক্ষয় হ্রাস পায়। এ কলায় ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় হাড়ের জন্য অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কাঁচা কলা রাখতে পারেন।