আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁও সদরের ভূল্লী থানায় বসিলা দিয়ে কুপিয়ে স্বামী তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম পবিজা খাতুন ( ৩৮)। আটক অভিযুক্ত স্বামী হলেন সদরের বড়গাঁও ইউনিয়নের ক্ষেনপাড়া গ্রামের মৃত. মফিজ উদ্দীনের ছেলে আশরাফ আলী (৪৬) । আশরাফ-পবিজা দম্পতির তিন সন্তান আছে।
ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) দুলাল উদ্দিন বলেন,যৌতুক না পেয়ে পবিজাকে তাঁর স্বামী হত্যা করেছেন বলে নিহত পরিবারের দাবি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে এ দম্পতির সুখময় ছিলনা। প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত।
স্থানীয় পুলিশ সুত্র জানায়,বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে জমি বন্ধক নেয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয় স্বামী আশরাফ। বাবার বাড়ি থেকে টাকা না এনে দেওয়ায় তাঁর ওপর নির্যাতন শুরু হয়।
গত (৮ এপ্রিল) সকালে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন গৃহবধু পবিজা খাতুন। এ সময় বসিলার ধারালো অংশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায় আশরাফ। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পাঠালে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় পবিজাকে। সেখানে ২০দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শনিবার পবিজা খাতুন মারা যান।
পরে পবিজা খাতুনের বড় ভাই এন্তাজুল হক বাদি হয়ে মামলা করলে ভূল্লী থানার। শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশরাফ আলীকে গ্রেপ্তার করে।
এন্তাজুল হকের অভিযোগ, যৌতুকের টাকা না পেয়ে তাঁর বোনকে ঘুমন্ত অবস্থায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
ওসি দুলাল উদ্দিন বলেন, আসামিকে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পবিজা খাতুন লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।