গোলাম রব্বানী, হরিপুর প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও হরিপুরে প্রচন্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রাণীকুলের মধ্যেও শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস অবস্থা। আগুন ঝরা রোদ থেকে বাঁচতে মানুষ ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে, তাতেও নেই শান্তি। গরমে মানুষ থেকে শুরু করে প্রাণীকুলসহ সবাই চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকেন আকাশের বৃষ্টির দিকে। ভাদ্র মাসের শুরুতে বৃষ্টি থাকলেও মাঝামাঝিতে এসে তাপপ্রবাহ বইছে অবিরাম।
তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
চারদিকে ছড়াচ্ছে সূর্যের প্রচন্ড- উত্তাপ। ফলে,প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা দুর্বিষহ দিন অতিবাহিত করছেন। আর কর্মজীবী মানুষের বেহাল অবস্থা। মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও ফাঁস ফাঁস করছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। প্রখর রোদে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ঠিক দুপুরে রাস্তাঘাট যেনো জনশূন্য হয়ে যাচ্ছে। সবাই যেনো নিরিবিলি আর গাছতলার মৃদু বাতাসের সন্ধান খোঁজছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলায় রোডসহ বেশ কয়েকটি রাস্তার পাশে গাছের ছায়ার নিচে বসে থাকতে দেখা যায় লোকজনকে।
তাপদাহের এই সময়ে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার,পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও স্যালাইন পান করার পরামর্শ দিয়েছেন । তাপদাহে বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, ভ্যানচালক ও কৃষকরা। তীব্র তাপে ঝরে পড়ছে আম-লিচুর মুকুলসহ ফসলী জমির ধান।
এছাড়াও কয়েকদিনের টানা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে শিশু-কিশোররা খুঁজে বেড়াচ্ছেন নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবার পানি। স্থানীয় বাজার ও ফুটপাতে বেড়েছে ঠান্ডা পানি ও শরবতের চাহিদা। তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে রসালো ফল বাঙ্গী, তরমুজ, মাল্টা, কমলালেবু, আনারস কিনছে গরমে অতিষ্ঠ মানুষজন। সবকিছু মিলে অসহনীয় গরমে আসলেই অতিষ্ঠ হরিপুর উপজেলাবাসি।
এবিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বুধবার (২৪ এপ্রিল) তাপদাহ ও অগ্নিদূর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতামূলক সভা অনূষ্ঠিত হয়।এউপলক্ষে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার সভাকক্ষে ইউএনও আরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা, হরিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাষ্টার, ইউপি চেয়ারম্যান , হরিপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, ইমারত নির্মাণ সমিতির সভাপতি, ব্যবসায়ী, ঠিকাদারসহ অনেকেই।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও গ্ৰামপুলিশেরা ।