ট্রাফিক পুলিশের পা ধরে কান্না করার বিষয়টি নাটকীয়তা দাবি করে পুলিশ সুপারের সংবাদ

শেয়ার

আনোয়ার হোসেন আকাশ,
(ঠাকুরগাঁও) বিশেষ প্রতিনিধি :

ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিক পুলিশের পা ধরে কান্না করার বিষয়টি ভিত্তিহিন ও নাটকীয়তা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনি দাবি করেন পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।

এসময় তিনি বলেন, গত ৩১ মার্চ ট্রাফিক ফোর্স চেক পোস্টের অপারেশন চলাকালীন দুপুর ১টায় একজন যুবক ট্রাফিক আইন অমান্য করে। এসময় তাকে থামানো হলে তার থেকে কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়া ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার কারণে তাকে জরিমানা করা হয়।

জরিমানা করার ২০ মিনিট পরে মোটরসাইকেল আরোহী অন্য একজনকে সঙ্গে নিয়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই সাথে মায়ের চিকিৎসার জন্য ঔষুধ কিনবেন এমন নাটকীয়তা করে ট্রাফিকের পা ধরে রাখার একটি সাজানো ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করা হয়। পরিস্থিতিটি পুরোটাই সাজানো এবং পূর্বপরিকল্পিত ছিল।

পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ বলেন, জরিমানাকৃত ও যুবককে জরিমানা করার ২০ মিনিট পরে সে অন্য আরেকজনকে সাথে নিয়ে এসে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তার বাসা পঞ্চগড়ের বোদায়। সে তার মায়ের চিকিৎসার জন্য ঔষুধ নিতে এসেছিলো এটি মিথ্যা কথা। মূলত জনগণের চোখে পুলিশকে হেয় করতে মিথ্যা ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যমূলক নাটকীয়ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এটা পুলিশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির অপচেষ্টা মাত্র। তাই জনগণকে এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

website counter