রাণীশংকৈলে সড়কের পাশে মরা গাছ, এখন যেন মরণফাঁদ !

শেয়ার

আনোয়ার হোসেন আকাশ,
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় একটি মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীসহ এলাকার মানুষের। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এই গাছে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে-এমন আতঙ্ক ও আশংকা নিয়ে চলাচল করছে ওই এলাকার পথচারীরা। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটো-খাটো দুর্ঘটনাও।

উপজেলার পৌর শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ ও পাশ্ববর্তী হরিপুর উপজেলায় যাওয়ার একমাত্র সড়ক শান্তিপুর তিন রাস্তার মোড়ে রয়েছে এই শিমুল গাছটি। মরা শিমুল গাছটি কাটার কোনো ব্যবস্থা না করায় তা ঝুঁকিপূর্ণ ও মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্প বাতাসেই ভেঙ্গে পড়ছে সেই মরা গাছ ও গাছের ডালপালা। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা। এসব ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় চলাচল করছে পথচারীরা।

যে কোন সময়ে ভারী যানবাহন চলাচলে মারাত্মক দূর্ঘটনার সৃষ্টি হতে পারে। এতে হাজার হাজার পথচারী, বাস, ট্রাক, অটো রিকশা, পাগলু ও দুরপাল্লার যানচালকদের দূর্ঘটনার আশংকা নিয়েই প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ গাছটি কেটে নেওয়ার দাবি জানালেও এ বিষয়ে নজর নেই সড়ক ও জনপদ বিভাগ বা বনবিভাগের।

সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, পৌর শহরের শান্তিপুর তিন রাস্তার মোড়টিতে আব্দুর রহিম স্টোর ও আকতারুল ইসলামের চায়ের দোকানের মাঝখানে কয়েকমাস ধরেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের মরা শিমুল গাছটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাছটিকে ঘিরে চারপাশে কয়েকটি দোকান রয়েছে কখন ভেঙে পরে এমন ঝুঁকি নিয়ে তারা ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে যে কোন মূহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা রয়েছে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা আরও বলেন, গাছটি মরে যাওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। গাছটি কাটার জন্য
সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা হলেও কোনো লাভ হয়নি।

ভ্যানচালক আমিরুল হোসেন জানান, প্রতিদিন তাকে এই রাস্তায় চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। কয়েকদিন আগের ঝড়ে একটি গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন তিনি। এজন্য তার আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘গাছটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে এটি দ্রুত অপসরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

নির্বাহী প্রকৌশলী সওজ রাফিউল ইসলাম জানান, ‘গাছটি অপসারণের বিষয়ে জেলা পরিষদের সাথে কথা হয়েছে । দ্রুত অপসারণ করা হবে বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

website counter