মামুনুর রশিদ (মামুন), ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: রাত ১০টা বেজে ৮ মিনিট। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় জুবুথুবু অবস্থা শীতার্তদের, তাই সব ব্যস্ততা সেড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলো বৃদ্ধা আমেনা বেওয়া। বেশ কয়েকদিন থেকে সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের প্রকোপতা প্রখর। সে কারণে আগে ভাগেই ঘুমিয়ে পড়েন স্বামী হারা আমেনা বেওয়া। হঠাৎ করেই রাতের বেলায় দরজার সামনে ডাক পড়ে খালা উঠেন। ঘুম থেকে উঠে দেখেন শীতবস্ত্র হাতে নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য রওশনুল হক তুষার। এ সময় আমেনা বেওয়া একটি কম্বল পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
রোববার গভীর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার ভূল্লী থানার ভূল্লী বাঁধ পাড়া ও দবির পাড়ার এলাকায় অসহায়, হতদরিদ্র শীতার্তদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে নিজ হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রওশনুল হক তুষার।
রাতে বেলা শীতবস্ত্র পেয়ে রহিম নামের এক বৃদ্ধ বলেন, কয়দিন ধরি খুব ঠান্ডা। এ বছর গরম কাপড়ও তেমন কিনতে পারি নাই, রাতে ঠান্ডাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। আজকে আওয়ামী লীগ নেতা তুষার ভাই একটা কম্বল দিল, এতে করি আমার খুব উপকার হইল। এখন এই কম্বল শরীরে জড়িয়ে রাতে ঘুমাব তাতে শীত কম লাগবে। আল্লাহ উনার ভালো করুক।
জসিম নামে আরেক বৃদ্ধ বলেন, তাদের সবসময় অযু করে থাকতে হয়। শীতে তাদের কষ্টটা বেশি হয়। আজকে কম্বল পেয়ে তারা সকলে খুশি। আর ভালো করে ঘুমাতে পারবে।
শীতবস্ত্র বিতরণের সময় রওশনুল হক তুষার বলেন, শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ-ব্যাধি। তাই মানবিক কারণে নিজস্ব প্রচেষ্টায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বলগুলো দিতে পেরেছি।
কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। এজন্য অসহায় দুস্থ শীতার্ত মানুষগুলোর শীতের কষ্ট নিবারণের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।