ঠাকুরগাঁওয়ে শীতার্তদের পাশে দাড়ালেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান

শেয়ার

মামুনুর রশিদ মামুন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: কয়েকদিন ধরে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে জেঁকে বসা শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় চরম বিপাকে এ অঞ্চলের শীতার্ত মানুষ। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্নমূল মানুষদের দুর্দশাও বেড়েছে। এসব শীতার্ত মানুষের জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শীতবস্ত্র নিয়ে এগিয়ে এসেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ছোট বালিয়া জামে মসজিদ (জ্বীনের মসজিদ) মাঠে দুই হাজার শীতার্ত ও দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।


শীতবস্ত্র বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সহধর্মীনি শারমিন আক্তার, জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন চৌধুরী, বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভূট্টো চৌধুরী, জেলা যুবলীগের উপদপ্তর সম্পাদক এস এম শাওন চৌধুরী, যুবলীগ নেতা রাসেল চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাকিল চৌধুরী, আফরোজ বিপু প্রমুখ।


এ দিকে শীতবস্ত্র পেয়ে মিলন নামের এক বৃদ্ধ বলেন, কয়দিন ধরি খুব ঠান্ডা। এ বছর গরম কাপড়ও তেমন কিনতে পারি নাই, রাতে ঠান্ডাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। আজকে বিজিএমইএ সভাপতি একটা কম্বল দিল, এতে করি আমার খুব উপকার হইল। এখন এই কম্বল শরীরে জড়িয়ে রাতে ঘুমাব তাতে শীত কম লাগবে। আল্লাহ তাদের ভালো করুক।
অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ একটি সহনশীল দেশ। যে কোন পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়াতে জানে। ইতিমধ্যেই দেশটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিশ্ব মানচিত্রে একটি গর্বের জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই লক্ষ্য অর্জনে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমাদের এই অগ্রযাত্রায় কেউ পেছনে থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আমার নিজ জন্মস্থান ঠাকুরগাঁওয়ের শীতার্ত মানুষদের কম্বল বিতরণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে জন্য আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়া হচ্ছে।
আরও চাকরির সুযোগ আসতেছে। আশা করি উত্তর অঞ্চলের মানুষের জন্য আমরা ভালো কিছু করবো।

কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। এজন্য অসহায় দুস্থ শীতার্ত মানুষগুলোর শীতের কষ্ট নিবারণের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

website counter