হরিপুর (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় গত ৪ দিনধরে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় কনকনে শীতে বইছে হিমেল বাতাস, পড়েছে ঘন কুয়াশা ও শীত । প্রচন্ড শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুসহ, অন্যান্য পশুপাখিগুলোও কাহিল হয়ে পড়েছে।
এদিকে কনকনে শীতে হাসপাতালে ঠান্ডাজণিত কারণে শিশু ও বৃদ্ধ রোগির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দিনে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও রাতে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে।
শনিবার ১৩ই জানুয়ারী/২৪ হরিপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী আরো ২/৩ দিন এই তাপমাত্রা থাকতে পারে বলে জানা যায়।
হরিপুরে হাড় কাঁপানো ও কনকনে শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুসহ অন্যান্য প্রাণিকুলও কাহিল হয়ে পড়েছে। নাগর নদীর হিমেল হাওয়ায় শৈত্যপ্রবাহের কারণে শীতে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। সন্ধ্যার পর পর লোকজন বাড়ীতে ফিরে আসছে। কাজকর্ম করতে না পারায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগে পড়েছে।
গত ৪ দিনধরে বৃষ্টির মত ঘন কুয়াশায় রাস্তা-ঘাট আছন্ন থাকছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘনকুয়াশা থাকায় যানবাহনগুলো ধীর গতিতে চলাচল করছে। সকালেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। যানবাহনের গতি কম থাকায় গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে।
ঘনকুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা বিকেল বেলা মিললেও সূর্যের তাপমাত্রা কম ।
এদিকে হরিপুরে শীত অব্যাহত থাকায় গরম কাপড়ের দোনানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। নিম্ন,-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষগুলো উপজেলার বাজার ও বিভিন্ন ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছেন। ফলে ফুটপাতের দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে।