সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে গত ২৯ অক্টোবর থেকে চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল এবং ১২ দফায় ২৪ দিন অবরোধ কর্মসূচি করে বিএনপি। কিন্তু এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে নির্বাচনের ঠিক ১৭ দিন আগে (২০ ডিসেম্বর) অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় দলটি। এরপর থেকে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও তার মিত্ররা।
দলীয় সূত্র জানায়, ২ জানুয়ারি থেকে ভোটের আগ পর্যন্ত টানা হরতাল-অবরোধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু গত ৩১ ডিসেম্বর চার সাংগঠনিক বিভাগ ও দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠকের পর কর্মসূচির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেয় দলের নীতিনির্ধারকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির কয়েকজন নেতা বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে নির্বাচনের আগে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। তাই, ভোটদানে নিরুৎসাহ করতে সারাদেশে ২, ৩ ও ৪ জানুয়ারি গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, ৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) চলমান কর্মসূচি শেষ হলে শুক্রবার বিরতি দিয়ে ভোটের আগের দিন (শনিবার) ও ভোটের দিন (রোববার) হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন এগিয়ে নেওয়া হবে। আমরা কখনও নাশকতায় জড়াইনি, অন্য কোনো পক্ষকে নাশকতা করার সুযোগ দিতে চাই না।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দের সময় ছিল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি।