মাহাবুব আলম, স্টাফ রিপোর্টার :
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের পুরোনো ইউনিয়ন পরিষদের গাছ বিনা অনুমোদনে কেটেছেন হোসেনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেটে ফেলা গাছ জব্দ করেছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাণীশংকৈল পৌর শহরের শান্তিপুর ভান্ডারা এলাকায় অবস্থিত হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের দুটি বড় কাঠাঁল গাছ হঠাৎ করেই কাটা শুরু হয়। সেখানে কয়েকজন গ্রাম পুলিশ দাড়িয়ে থেকে গাছ কাটা তদারকি করেন। সেখানে গিয়ে গাছ কাটার আইনি অনুমোদন সম্পর্কে জানতে চাইলে গ্রাম পুলিশ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমানের নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে। কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় গাছ কাটছে তা তাদের জানা নেই।
এদিকে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ওই পুরোনো কার্যালয়টি বর্তমানে রাণীশংকৈল পৌরসভার অধীনে রয়েছে। এখানে রাণীশংকৈল পৌরসভার ভবন নির্মাণ করার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছেন রাণীশংকৈল পৌরসভা। সেই ধারাবাহিকতায় ওই পরিষদের মধ্যে থাকা কাঠাঁল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতের প্রায় ১৩টি গাছ কাটার জন্য সব প্রক্রিয়া শেষে দরপত্র আহবান করেন রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র। সেই দরপত্র অনুযায়ী আগামী ২৬ ডিসেম্বর দরপত্রের সিডিউল বিক্রির শেষ দিন। এর মধ্যেই ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি গাছগুলো কাটা শুরু করেন। এ নিয়ে রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ করলে ইউএনও তাৎক্ষনিক গাছগুলো জব্দ করে উপজেলা পরিষদে সংরক্ষন করেন। ইউএনও ধারনা করে বলেন,গাছগুলো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা হতে পারে।
গাছ কাটা প্রসঙ্গে হোসেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মালিকানা জমিতে গাছ কাটা হয়েছে। ইউএনও গাছগুলো জব্দ করেছে। উনি যা ব্যবস্থা নিবেন তাই হবে।
রাণীশংকৈল পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে। হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের পুরোনো কার্যালয়ে পৌর ভবন করার জন্য দরপত্র আহবান হয়েছে। এ কারণে ওই কার্যালয়ের মধ্যে থাকা গাছ বিক্রির জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এরই মধ্যে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোমবার হঠাৎ করেই গাছ কাটা শুরু করেন। ইউএনওকে জানালে তিনি গাছগুলো জব্দ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান বিনা অনুমোদনে গাছ কাটতে পারেন না। কেটে ফেলা কাঠাঁল গাছদুটো জব্দ করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।